বড়মামার মামাগিরি

কষ্ট (জুন ২০১১)

রনীল
  • ৭৫
  • 0
  • ৩৯
চশমা চোখে দিয়ে যদি চশমার উপর দিয়েই সবকিছু দেখতে হয়, তবে সে চশমা পড়ার মানে কি! আমি আর বড়মামা নানাবাড়ির বড় দীঘিটার সামনে বসেছিলাম। দীঘির নাম কাজল দীঘি। কাজল মানে তো কালো। যে দীঘির পানি স্ফটিকের মত স্বচ্ছ, তার নাম কাজল দীঘি হওয়ার মানেটাই বা কি!
বড়মামা যথারীতি চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
- তোর তাহলে পড়ালেখা করতে ভালো লাগেনা?
আমি একটু দ্বিধায় পড়লাম। পড়ালেখা করতে যে খুব একটা খারাপ লাগে তা নয়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফিটফাট হয়ে স্কুলে যেতে খারাপ লাগেনা। মাঝে মাঝে দুপুরের টিফিন ব্রেকে পালিয়ে গিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলতে চলে যাই, বনে বাদাড়ে ঘুরে বেরাই, পরীক্ষার আগে মামা মামীর আদর যত্ন ভালই লাগে। তবে সমস্যাটা হয় পরীক্ষার পর রেজাল্ট বের হলে। এ বছর আমার প্রাইমারী স্কুল শেষ করে হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা। কিন্তু পাঁচ পাঁচটা সাবজেক্টে ফেল করায় স্যাররা আমার কপালের মাঝখানটায় আঙ্গুল রেখে বললেন,
- এখানটায় যখন গ্রোউথ হচ্ছেনা...তখন উপরের দিকে আরেকটু গ্রোউথ হোক... আরেকটু শক্ত পোক্ত হও, তারপর হাই স্কুলে ঢুকো... কি বলো বাপধন!
আমি আর কি বলতে পারি। আমার কি কিছু বলার মুখ আছে নাকি!
ফেল করার পর যে কারনে সবচেয়ে বেশি আফসোস হচ্ছে, তা হল মুন্নি টা আমার সিনিয়র হয়ে গেলো। এম্নিতেই মুন্নি ভালো স্কুলে পড়ে, তার উপর সে ভালো ছাত্রী। এখন থেকে তিনি আবার আমার সিনিয়র! উফফ! বাসা থেকে পালানো ছাড়া আর কোন উপায় তো দেখা যাচ্ছেনা!
- আমাকে মুন্নিদের স্কুলে ভর্তি করায়ে দেন। মুন্নিদের মনোয়ারা গার্লস স্কুলটা কত সুন্দর!
বড়মামার ট্রেডমার্ক হল তার মুচকি হাসি। জোরে হাঁসতে তাকে খুব একটা দেখিনি। আমার এ কথায় হাসির কি আছে, কে জানে, মামা খুব জোরে হেঁসে উঠলেন।
আমার খুব অভিমান হল। আমার বাবা মা নেই। আমি এতিম... সে জন্য কি আমি ভালো স্কুলে পড়তেও পারবোনা!
- আচ্ছা ঠিক আছে। পড়া লেখা ছাড়া তোর আর কি ভালো লাগে?
ওই বয়সেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে – সত্য কথা সব সময় বলতে নেই। আমার ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে, টিফিন পালাতে, গাছে চড়তে, ফুটবল খেলতে...। কিন্তু আমি মুখ গম্ভীর করে বললাম,
- আমার ভালো লাগে স্কুলে যেতে ... উমম পড়ালেখা করতে...
- পড়ালেখা করতে তোমার অঅঅনেক ভালো লাগে, সেটা তো বুঝলাম... এর বাইরে তোমার আর কি কি ভালো লাগে?
কাছেই ধানক্ষেতে গ্রামের ছেলেপেলে ফুটবল খেলছিল... আমার স্বতৃষ্ণ নয়ন ঘুরেফিরে সেদিকেই চলে যাচ্ছিল। মামা কি শুরু করলো এসব!
মামা আমার হাবভাব বুঝতে পারলেন কিনা কে জানে! ধুম করে হটাৎ প্রসঙ্গ পালটে জিজ্ঞেস করলেন
- তুই সাতার পারিস?
আকস্মিক এই প্রসঙ্গ বদলে আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। নাবোধক জবাব দিতে না দিতেই মামা যেন হঠাৎ খেপে গেলেন। আমি একদম পানির কাছেই বসেছিলাম। মামা বলা নেই কওয়া নেই আমাকে পানিতে ফেলে দিলেন। ঝপাস করে শব্দ হল। প্রথম কয়েক সেকেন্ড আমি পানির নিচে এক অদ্ভুদ শব্দহীন পরিবেশে ডুবে রইলাম। কিছুক্ষণ পর হাত পা ছুড়ে কোনরকমে মাথা পানির উপরে উঠিয়ে নিঃশ্বাস নিতে না নিতেই নিচে থেকে কে যেন টেনে ধরলো... এভাবে বারবার হাবুডুবু খেতে খেতে একসময় মনে হল শরীর হালকা করে রাখলে ভেসে থাকতে একটু সুবিধা হয়... কিছুক্ষণ পর আবার নিচ থেকে সেই টান... কয় লিটার পানি যে খেলাম তার কোন হিসেব নেই। একসময় মনে হল আর পারা যাচ্ছেনা... শক্তি ফুরিয়ে এসেছে, ঠিক সে সময় মামা আমার চুল ধরে হ্যাঁচকা টানে আমাকে তুলে ফেললেন। রাগে দুঃখে আমার চোখে পানি চলে আসলো। ঠিক করলাম মামার সাথে আর জীবনে ও কথা বলবোনা। ভেবেছিলাম আমার দুর্দশা দেখে মামা হো হো করে হাসবেন। কিন্তু মামা সেটা না করে সিরিয়াস ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন, তারপর বললেন;
- ঠিক আছে... এভাবে চললে এক সপ্তাহের মধ্যে শিখে ফেলবি।





বিকেলের দিকে ঠিক হল সবাই মিলে মামীর বাপের বাড়ি কড়িহাটি যাবো। সবাই বলতে, আমি, মামা, মামী আর মুন্নি। পরদিন সবাই ঢাকায় ফিরে যাবো। অতএব, আজ কড়িহাটি না গেলে পড়ে আর যাওয়া হবেনা।
কড়িহাটি যাবার পথে মামা আরেক কান্ড ঘটালেন। নানাবাড়ি থেকে কড়িহাটি অনেক দুর। পায়ে হেঁটে ঘন্টাখানেকের মত লাগে। মামা একটা রিকসা ঠিক করে মুন্নি আর মামীকে তাতে উঠিয়ে দিয়ে বললেন,
- তোমরা যাও... আমি আর খোকন পায়ে হেঁটে আসছি।
মামী তো আর মামার মতন পাষণ্ড নন, সব শুনে চোখ কপালে তুলে বলল,
- কি বল তুমি, এতোটুকু বাচ্চা এতদুর হাঁটবে কিভাবে!
মামা কোন কারন দর্শালেননা, মুচকি হেঁসে বললেন,
- তোমরা যাও, আমরা ঠিকই পৌঁছে যাবো... কিরে পারবিনা?
আমার ততক্ষণে চোখে বাস্প জমতে শুরু করেছে। তাকিয়ে দেখি মুন্নি আগেভাগে রিক্সায় উঠে রাজরানীর ভঙ্গিতে বসে আছে। আমার দিকে ফিরেও দেখছেনা। মামা নিজের মেয়ের জন্য ঠিক ই রিকশার ব্যবস্থা করেছেন। হঠাৎ আমার জেদ চেপে গেল। মুখে বললাম,
- খুব পারবো।
কড়িহাটি বাজারে এসে মামা কিছু বাজার সদাই করলেন। মাছ, মুরগী, তেল... সব মিলিয়ে কম না। বাজার শেষে মামা আরেক কান্ড ঘটালেন, সাত আট কেজি বাজারের পুরোটা দুটো ব্যাগে ভরে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,
-আর মাত্র দশ মিনিটের রাস্তা। বইতে পারবিনা?
মামার আজকে হয়েছে কি! আমার উপর এত রাগ কেন? আমি গোঁয়ারের মত ব্যাগ দুটো বয়ে চললাম। কিছুদূর যেতেই মনে হল, হাত দুটো ছিড়ে আসছে, তৃষ্ণায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে। কিন্তু আমি হাল ছাড়লাম না। টেনে হিঁচড়ে ব্যাগ দুটো রসই ঘর পর্যন্ত বয়ে নিয়ে গেলাম।



ঢাকায় ফিরে কিছুদিন গুম হয়ে রইলাম। পাষণ্ড মামাটার দিকে ফিরে ও তাকাইনা। মামা কিছু জিজ্ঞেস করলে হঁ হাঁ করে জবাব দিই।
আমার মনে হচ্ছিল একমাত্র পড়ালেখাই পারে আমাকে মুক্তি দিতে। এ কয়দিন তাই বাড়াবাড়ি রকমের পড়াশোনা করলাম। চিৎকার করে পড়তে পড়তে গলা ব্যথা হয়ে গেল। এত কষ্ট করেও খুব একটা তফাত হলনা, চিৎকার করে গলা ফাটানোই সার, পড়া কিছুই মাথায় ঢুকেনা। মুন্নির দিকে মাঝে মাঝে গোপনে তাকাই। মুন্নি পড়ার সময় মুখে খুব একটা শব্দ করেনা, চুপচাপ পড়ে যায় আর মাঝে মাঝে মাথা চুলকায়। তাতেই ওর সব পড়া হয়ে যায়। আমি ও কয়দিন মুন্নির নিয়মে পড়ালেখা করলাম, মাঝে মাঝে মুন্নির মতই মাথা চুলকালাম। কিন্তু খুব একটা লাভ হলনা।
গোঁয়ার্তুমি করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। বইগুলো সব পড়ে থাকে। ধরে দেখতেও ইচ্ছে করেনা। স্কুলের সবুজ মাঠ, বন বাদাড়, বন্ধু-বান্ধব এসব যেন আমাকে বেশী টানে।
গ্রাম থেকে ফেরার পর অবশ্য মামার পাগলামি সেরে গেছে। আর নতুন কোন অত্যাচার করেননি। তবে আমি টের পাই দুর থেকে উনি আমাকে খেয়াল করছেন।
একদিন অফিস থেকে ফেরার সময় আকস্মিক একটা ফুটবল কিনে নিয়ে আসলেন। আমি অবিশ্বাস ভরে তাকিয়ে থাকি। মুন্নি ফুটবল খেলেনা। তবে কি আমার জন্যই ...। উত্তেজনায় আমার হৃদপিণ্ড দ্বিগুণ গতিতে ধুকপুক করতে থাকে। ফুটবল যে আমার জন্য এতো আকাঙ্ক্ষার একটা বস্তু ছিল, সেটা আমি নিজেও কখন ও বুঝতে পারিনি। কোন মন্ত্রবলে মামা আমার সেই গোপন স্বপ্নের কথা জেনে ফেললেন! বলটা আমার হাতে দিয়ে মামা বললেন,
- মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ হয়না। সব স্বপ্ন পূরণের ক্ষমতা মানুষকে দেওয়া হয়না। আমার নিজের ও অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে। নিজেকে জানার চেষ্টা কর। যে কাজটা তুই ভালো করতে পারিস, যে কাজটা করতে তোর ভালো লাগে... সে কাজে নিজেকে উজাড় করে দে।
এতো কঠিন কথা বোঝার জন্য যথেষ্ট ‘গ্রোউথ’ আমার তখনো হয়নি। তবু ও মামা আমাকে যে কথাটা বলতে চেয়েছিলেন, আমি তা ঠিকই বুঝে নিয়েছিলাম।


পরিশিষ্ট

তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। আমি এখন বুঝি মুন্নির স্কুলে ভর্তি হতে চাওয়ায় কেন মামা সেদিন ওভাবে হেসেছিলেন, কেন আমাকে পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন কিংবা কেন আমাকে দিয়ে বাজারের ব্যাগ টানিয়েছিলেন। আমি এখন জানি কাজল শব্দটার মানে গভীর ও বটে।
আমি আরো কিছুদিন গোঁয়ারের মত পড়াশোনা করেছিলাম। টেনেটুনে হায়ার সেকেন্ডারী পাশ করেছি। এরপর অনেক চেষ্টায় ও বি কম টা পাশ করতে পারিনি। মুন্নি আর মামী অবশ্য অনেক চেষ্টা করেছিল।
তবে মুন্নি অবশ্য অনেক পড়ালেখা করেছে। পড়াশোনা শেষ করে বিয়ে করে স্বামীর সাথে অ্যামেরিকা গেছে অনেক দিন হল।
আমি এখন একটা ক্লাবের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন ফুটবল খেলি। স্ট্রাইকার পজিশন। জাতীয় দলে হয়তো কখনো সুযোগ পাবোনা, কিন্তু এলাকার লোকজন জানে আমি ভালো ফুটবল খেলি, মাঝে মাঝে পত্রিকায় আমার নাম ছাপা হয়।
খেলার মাঠে প্রায়ই প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা আমাকে দুপাশ থেকে চেপে ধরে, বাজারের ব্যাগ দুটোর মতো আমাকে টেনে ধরে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রবলভাবে আমাকে নিচে ফেলে দিতে চায়। আমি তবুও গোঁয়ারের মত বলটাকে নিয়ে এগিয়ে যাই। প্রতিপক্ষ অনেক সময় জাপটে ধরে, কনুই চালায়, ল্যাং মারে... আমি তবুও বেপরোয়া ভাবে সামনের দিকে ছুটে যাই।
কাজল দীঘির পাশে হিজল গাছটার নিচে মামাকে শুইয়ে রেখে এসেছি অনেকদিন হল। বর্ষার সময় গাছটাতে অনেক ফুল ধরে। দীর্ঘদিন পর স্বামী-সন্তান নিয়ে মুন্নি দেশে ফিরে আসে। আমি মুন্নির বারো বছরের ছেলেটাকে নিয়ে কাজল দীঘির ঘাটে বসে থাকি। দূরে ধান খেতে ছেলেপেলের দল ফুটবল খেলে। মুন্নির ছেলেটা সেদিকে স্বতৃষ্ণ ভাবে চেয়ে থাকে।
-বাবু, তুমি সাতার পারো?
ছেলেটা লজ্জিত ভাবে এদিক ওদিক মাথা নাড়ায়। আমার দুচোখ ভরে জল আসতে চায়...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Didarul Islam দু'একটি বানান ভুল অাছে মনে হয়। এছাড়া এমন দারুণ এবং গোছানো লেখা অামি বর্তমান কোনো উদীয়মান তরুণ লেখকের কাছে পেয়েছি বলে মনে পড়ছে না। লেখককে অভিনন্দন :)
রনীল মোঃ শামছুল আরেফিন , তানভির , মৃন্ময় মিজান সহ যারা লেখাটি পড়েছেন... তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি... আগামী দিন গুলো তে ও আপনাদের সহযোগিতার প্রত্যাশায় রইলাম. শুভেচ্ছা...
মৃন্ময় মিজান দারুন লাগল লেখাটা। মানুষের জীবনচক্র একই পথে চলে....
রনীল খোরশেদুল আলম ভাই, লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে সন্মানিত বোধ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রজাপতি মন আমিও আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে ধন্য হলাম :) আসলে আ্মার মনটা সব সময় উড়ে বেড়ায় আনন্দের সাগরে তাই এই নামকরণ !! সবাই বুঝতে পারেনা ...............
রনীল প্রজাপতি মন- প্রজাপতির ডানা দেখে আমি সবসময় মুগ্ধ হয়েছি.. প্রজাপতির বর্ণিল ডানার স্বাধীনতা এবং আনন্দময়তার উৎস যে তার মন, সেটা কখনো ভেবে দেখেনি... খুব কম লোকই তা ভেবে দেখে... আপনি সে গুটি কয়েকজনের মধ্যে একজন। আপনার সাথে পরিচিত হয়ে সন্মানিত বোধ করছি।
খোরশেদুল আলম সুন্দর, শুরু থেকে এমন ভালো লোগেগেল যে শেষ নাকরে আর ছাড়তে পারলামনা কারন সেই সয়টাতে মামাদের আদর পেয়েছি খুব।
প্রজাপতি মন রনীল আমার ময়ূরাক্ষী নামটা কেমন যেন পর পর লাগছিল। আমার নাম প্রজাপতি মন। এই নামে ফেসবুকে সবাই আমাকে চিনে। তাই এই নামই আবার দিলাম।
রনীল ধন্যবাদ শাহনাজ আক্তার। ভালো থাকবেন।

০৪ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪